ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের বিচার দাবিতে সাংস্কৃতিক সমাবেশ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর তিনটি ইউনিয়নের ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। মন্দিরে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরকারীদের বিচার দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে এ দাবি জানান বক্তারা। শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশে যোগ দেন সমমনা প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দও।

Continue reading ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিমা ভাঙচুরে জড়িতদের বিচার দাবিতে সাংস্কৃতিক সমাবেশ

রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের সনদ বিতরণ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত, সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারাদেশে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে সনদ এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গত ০৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান এবং সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

সেমিনারে “প্রগতি সাহিত্য চর্চার বাতিঘর রণেশ দাশগুপ্ত” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। তাঁর পক্ষে প্রবন্ধটি পাঠ করেন রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি বেলায়েত হোসেন। এছাড়া, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য সৈয়দ মোহাম্মদ সাহেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক মাসুম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ড. রতন সিদ্দিকী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ইয়ুথ কয়্যার-এর শিল্পী এবং উত্তরপাড়ার সমতট সংস্কৃতি-এর ডিরেক্টর বাসুদেব হুই। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ‘সুখচর পঞ্চম’ দলের প্রধান মলয় মিত্র। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

Continue reading রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের সনদ বিতরণ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটকদের মুক্তি চেয়ে সমাবেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাসহ নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এপর্যন্ত গ্রেপ্তার এবং আটক হওয়া সবাইকে ঈদের আগেই মুক্তি দেয়া এবং এই আইন বাতিলের দাবিতে পুরান ঢাকায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। “প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ”-এর ব্যানারে ২৪ জুন ২০২৩, শনিবার, বিকাল ৫টায় বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নিয়ে আলোচনা সভা

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয় অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল, ২০২৩। প্রস্তাবিত এই বিলকে জনস্বার্থবিরোধী এবং স্বৈরাচারী উল্লেখ করে এটি বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে আলোচনা সভা করেছে প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ। ০৮ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি, রাজেকুজ্জামান রতন। প্রগতি লেখক সংঘ-এর সহ-সভাপতি জাকির হোসেন-এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সমাজ অনুশীলন কেন্দ্র-এর রঘু অভিজিৎ রায়, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র-এর জাকির হোসেন, ভাষানী পরিষদ-এর ওমর তারেক চৌধুরী প্রমূখ। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

Continue reading অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নিয়ে আলোচনা সভা

মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিসের প্রতিবাদ

মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে আইনি নোটিসের প্রতিবাদ উদীচীর:
সব ষড়যন্ত্র রুখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষের ঢল নামানোর আহ্বান

বাঙালির পহেলা বৈশাখ, বাংলা বর্ষবরণ উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। বহু বছর ধরে রাজধানীসহ দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে রঙ্গিন এ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকল অশুভ, অকল্যাণকর, কূপম-ুকতাকে দূরীভূত করার আহ্বান জানায় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলার আপামর জনসাধারণ। নানা সময়ে নানাভাবে এ শোভাযাত্রাসহ বাংলা বর্ষবরণ আয়োজনকে বন্ধ করা বা সঙ্কুচিত করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন এক চক্রান্ত শুরু হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, কোন এক আইনজীবী মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধের জন্য আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। একে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, একটি বিশেষ ধর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত বলে উল্লেখ করাসহ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুসৃত ধর্মের জন্য অবমাননাকর বলেও দাবি তার। এ ধরনের অমূলক এবং ভিত্তিহীন আইনি নোটিস প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক প্রতিবাদলিপিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, উদীচী দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করে এই আইনি নোটিস প্রদান মূলত বাংলা বর্ষবরণ আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য মৌলবাদী, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর যে ধারাবাহিক অপচেষ্টা তারই অংশমাত্র।

বিবৃতিতে উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ব্যক্তি ‘মঙ্গল’ শব্দটিকে কোন একটি বিশেষ ধর্মের শব্দ বলে আখ্যায়িত করতে পারেন তিনি যে আবহমান বাঙলার ঐতিহ্যবাহী অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করেন না তা স্পষ্টভাবেই বোঝা যায়। আর এমন চিন্তাধারা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির চেতনার সাথেও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এই আইনি নোটিস প্রদানের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে ওই আইনজীবীই রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছেন বলে মনে করে উদীচী। অবিলম্বে ওই আইনজীবীকে শাস্তির আওতায় আনা এবং তার আইনজীবী সনদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে উদীচী।

রাজধানী ছাড়াও যশোর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে উদীচীর উদ্যোগে অপরাপর প্রগতিশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে বহু বছর ধরে মহাসমারোহে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক বদিউর রহমান ও অমিত রঞ্জন দে। তারা জানান, এবছরও সে আয়োজন শুধু অব্যাহতই থাকবে না, বরং তার ব্যপ্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। যতো বাধাই আসুক, বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রক্ষার সে পথ থেকে উদীচীকে সরানো যাবে না। কোন ধর্মান্ধ, মৌলবাদী অপশক্তির চক্রান্তের কাছে মাথা নত করে বাংলার সাধারণ মানুষ এদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব পালন থেকে কখনোই পিছিয়ে আসবে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া, এ বিষয়ে সব প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।