সেকুলার সংস্কৃতি: সৈয়দ আজিজুল হক

সংস্কৃতি বিষয়ে মোতাহের হোসেন চৌধুরীর এক বাক্যের বিশ্লেষণাত্মক বক্তব্যটি কিংবদন্তিতুল্য, চিরায়ত কালের আবেদনবাহী। কথাটি এরকম: ‘ধর্ম সাধারণ লোকের কালচার আর কালচার শিক্ষিত, মার্জিত লোকের ধর্ম।’ কালচার্ড বা সংস্কৃতিবান হওয়ার মধ্যে আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনের বিষয়টি গভীরভাবে বিজড়িত। সংস্কৃতির কাজ হলো, মানুষের চেতনাকে প্রতিনিয়ত পরিমার্জিত করা, পরিশীলিত করা, উন্নত অভিরুচিতে মণ্ডিত করা। সংস্কৃতিবান হওয়ার মধ্যে রয়েছে মানবিক বোধের জাগরণ, মনুষ্যধর্মের নিরবচ্ছিন্ন বিকাশসাধন। অন্য প্রাণী থেকে আমরা মানবপ্রজাতি যে অনন্য স্বাতন্ত্র্যময় বৈশিষ্ট্যটি ধারণ করি তা হলো, রূপগত দিক থেকে মনুষ্য-আকারের অন্তরালে অন্তর্গতভাবে আমরা দ্বিবিধ সত্তার অধিকারী।

Continue reading সেকুলার সংস্কৃতি: সৈয়দ আজিজুল হক

পশ্চিমবঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গেও এখন একুশে উদযাপিত হচ্ছে। অবশ্যই ভিন্ন ভাবে। তবে এই উদযাপন খুব বেশী দিন আগের ঘটনা নয়। মাত্র কুড়ি বছরের। খুব বড় আকারে হয় না। তবে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে হয়। আর এই উদযাপনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিকগুলোতে দিনটির উল্লেখ ঘটে একটি বিশেষ দিবস হিসাবে।
আগে ঘটতো না, এখন ঘটে, এর কারণ কী? এই বিষয়টাই বিশেষভাবে লক্ষ করবার ব্যাপার। সে প্রসঙ্গে আমরা একটু পরে আসছি। তার আগে উল্লেখ করা দরকার পশ্চিমবঙ্গে সকলে যে একভাবে উদযাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি তা কিন্তু নয়, পার্থক্য রয়েছে। যেমন বেশ ক’বছর পূর্বে কলকাতায় দু’টি মূল অনুষ্ঠানের খবর পাওয়া গেছে। Continue reading পশ্চিমবঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মহান বিজয়ের মাসে মনুষত্বের মহাবিপর্যয়: এএন রাশেদা

ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দ্বরপ্রান্তে পৌছেছিলাম। পাক বাহিনী ৪:৩১ মিনিটে রেসকোর্স ময়দানে মিত্র বাহিনীর কাছে তাদের সহযোগী বাহিনী (অক্সিলারি ফোর্স) অর্থাৎ জামাত রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ আত্মসমর্পন করেছিল। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীন দেশে সেই সহযোগি বাহিনী কারাগারে অন্তরীণ হয়েছিল এবং মুসলিম লীগ, নিজামে ইসলাম ও জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। তাদের বিচার কাজ শুরু হয়েছিল, যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিল। যাদের সে ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না শুধু তারাই ছাড়া পেয়েছিল। Continue reading মহান বিজয়ের মাসে মনুষত্বের মহাবিপর্যয়: এএন রাশেদা

রবীন্দ্রনাথের মর্ত্যভূমি: নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর

রবীন্দ্রনাথকে একজন আধুনিক মানুষ ও যুগের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আন্তরিক ইচ্ছের কথা সুবিদিত। কিশোর পুত্রকে ভারতবর্ষের নানা স্থানে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে বৈচিত্রময় ভারতভুমির সংগে শৈশবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তারপর কৈশোর না পেরোতেই রবীন্দ্রনাথকে বিলাত পর্যন্ত পাঠিয়েছেন। পিতার প্রত্যাশা ছিল রবীন্দ্রনাথ ব্যারিস্টারি পড়ে এসে আইন ব্যবসা করবেন। আবার সিভিল সার্ভেন্ট হতে চেয়ে রবীন্দ্রনাথ আবেদন করেছিলেন দেখা যায়। শেষপর্যন্ত তিনি ব্যারিস্টার কিংবা সিভিল সার্ভেন্ট কোনোটাই হন নি। Continue reading রবীন্দ্রনাথের মর্ত্যভূমি: নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর

যতবার হত্যা করবে, জন্মাবো আবার, গড়বো নতুন ইতিহাস: কংকন নাগ

সন ২০০৫। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় এক অধ্যায়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর বছর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতাকারী ও স্বাধীনতার পরও নানাভাবে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী মানুষকে যে গোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে গেছে, সেই জামায়াতে ইসলামী তখন এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ২০০১ সালে জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার ফলশ্র“তিতে দেশে তখন মারাত্মকভাবে উত্থান ঘটেছে জঙ্গিবাদী মৌলবাদী গোষ্ঠীর, যার প্রমাণ তারা একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে রেখে যাচ্ছিল। এসব অপতৎপরতারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০০৫ সালে। ওই বছরই ১৭ আগস্ট সংঘটিত হয় সিরিজ বোমা হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যার মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তাদের শক্তি সম্পর্কে পুরো দেশের মানুষকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। Continue reading যতবার হত্যা করবে, জন্মাবো আবার, গড়বো নতুন ইতিহাস: কংকন নাগ