গণসঙ্গীতের তুলিতে উদীচীর সাহসী আঁচড় : সঙ্গীতা ইমাম

‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’- লড়াই আর সংগ্রামের অনন্য মণিকাঞ্চণে এমন এক সংগঠন, যা সমাজের চোখ হয়ে মানুষের দুঃখে কাঁদে, আনন্দ-অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে যে কোনো আনন্দ বা উত্তরণে, প্রাণিত হয় মানুষের স্বপ্নময় উদ্বোধনে।

শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও গণমানুষের ক্যানভাসে অধিকারের এক অপূর্ব প্যাস্টেল চিত্র সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১) স্বপ্ন দেখেছিলেন হাসি-গানে মুখর এক বাংলার; ছিলেন বিপ্লবী ও কৃষক আন্দোলনের সংগঠক। সময়ের পলিমাটিতে হেঁটে কিছু মানুষ হয়ে ওঠেন সময়ের দর্পন- সত্যেন সেন ছিলেন তেমনই এক মানুষ। সত্যেন সেন ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ তারিখে বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের সেন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটোবেলায় তাঁর ডাক নাম ছিলো লস্কর। তাঁর পিতার নাম ধরনীমোহন সেন, এবং মাতার নাম মৃণালিনী সেন। Continue reading গণসঙ্গীতের তুলিতে উদীচীর সাহসী আঁচড় : সঙ্গীতা ইমাম

প্রসঙ্গ: গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা -প্রবীর সরদার

গণসঙ্গীতের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। তবে সাধারণত গণসঙ্গীত মূলত জনগণের সঙ্গীত। জনগণকে সচেতন, উৎসাহিত বা আন্দোলিত করার সঙ্গীত এই গণসঙ্গীত। কোনো রাষ্ট্রে বা সমাজে গতানুগতিক বৈষম্য, অসামঞ্জস্য, অসংগতি, অসংলগ্নতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপামর জনসাধারণ যখন শিল্পের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে সচেতন করার প্রয়াসে ওই বিষয়গুলো দিয়ে গান রচনা করে, তবেই সেটা গণসঙ্গীত। জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময়ে তা উপস্থাপিত হতে পারে। আবার অন্যভাবে বলতে গেলে, গণসংগ্রামের গণচেতনায় গণসঙ্গীত সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণে সম্পৃক্ত করে এবং স্বপ্ন পূরণের সার্থকতা খোঁজে। Continue reading প্রসঙ্গ: গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা -প্রবীর সরদার

গান এবং বিজ্ঞান এবং উদীচীর গান : মাধব রায়

মানব শিশু যেমন মাতৃগর্ভ থেকেই তার হৃদস্পন্দন শুরু করে দেয় এবং জন্মের পর দৈনিক এক লক্ষেরও বেশি বার, বছরে চার কোটিরও বেশিবার স্পন্দিত হয় তার হৃদয়, তেমনি তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ শুরু হয় মাতৃগর্ভেই। বড় হয়ে আর বুড়ো হয়ে সে বুদ্ধিজীবী হোক বা না হোক, তার বুদ্ধির শুরু মায়েই পেটেই। বৃদ্ধির বিকাশ নির্ভর করে তা মস্তিস্কের নিউরনের মানের উপর। ১৪ থেকে ১৫ কোটি নিউরনের গুণগত মৌলিক গঠন শিশুটি জন্মসূত্রেই পেয়ে থাকে। জন্মের পর তার নিউরনের গুণগত পরিবর্তন হতে থাকে প্রায় দশ বছর পর্যন্ত। সেই দশ বছর তার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তখন নিউরেনের মানের যে পরিবর্তন হয় তা তার অবস্থান বা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। নিুমানের নিউরন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশু যদি বছর খানেক অনুকূল পরিবেশে লালিত পালিত হয়, তবে তার নিউরনের মান অনেকখানি উন্নত হয়। আবার উচুমানের নিউরন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশু যদি দশ বছর পর্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে বড় হয়, তবে তার নিউরনের মান নিুপর্যায়ে চলে যায় এবং এরপর সাধারণত নিউরনের মানের আর উন্নয়ন হয় না। Continue reading গান এবং বিজ্ঞান এবং উদীচীর গান : মাধব রায়

শত অজানার খ-চিত্র : গোলাম মোহাম্মদ ইদু

যুগের দাবি মেটাতে রণেশ দাশগুপ্ত যুগের কর্মী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বাংলায়। নিজের দেশকে ইংরেজদের জোয়ালমুক্ত করার আন্দোলনে সে যুগের আন্দোলকারী বিপ্লবীদের সাথে তিনিও একাত্ম হয়েছিলেন। তখন দেশকে মুক্ত করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের ধাক্কাও ভারতের গায়ে তখন লাগতে থাকে। কিন্তু বিপ্লবীদের একই উদ্দেশ্য ভারতকে স্বাধীন করা। এ ব্যাপারে কাজ হচ্ছিল দুটি ধারায়। একটি ধারা ছিল গান্ধিজীর অহিংস আন্দোলন, দ্বিতীয় ধারা ছিল নেতাজী সুভাষ বসুর সশস্ত্র সংগ্রাম। দ্বিতীয় ধারার এই বিপ্লবীরা আবার দুটি ধারায় বা দুটি দলে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। এ দুটি দল সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতকে মুক্ত করে স্বাধীন হতে চায়। এদের একটি যুগান্তর, অন্যটি অনুশীলন দল। রণেশ দাশগুপ্ত অনুশীলন দলের হয়ে বহুদিন সশস্ত্র সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। Continue reading শত অজানার খ-চিত্র : গোলাম মোহাম্মদ ইদু

রবীন্দ্রনাথকে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খা: গোলাম মোহাম্মদ ইদু

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথের সার্ধশত জন্মজয়ন্তি উদযাপিত হচেছ মহাসমারোহে দু’দেশেই ভারত এবং বাংলাদেশে। আমরা বাঙালি, তাই নিজের জীবনের তাগিদেই আমরা আমাদের আসল ঠিকানা খুঁজে নিতে চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝেই কিছু না বুঝেই আমাদের চলার পথে বাধার সৃষ্টি করে এসেছে প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা। ওরা ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্মান্ধতার জিকির তুলে বাঙালি সত্তা থেকে আলাদা করতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি রবীন্দ্রনাথকে। ব্যর্থ হয়েছে।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ এই দেশের গানটিকে (পরবর্তীতে যা আমাদের জাতীয় সংগীত হয়ে ওঠে) বিপ্লবী গান করে তুলেছিল। এই গানটিকে গাওয়ার জন্য আমরা উতলা হয়ে উঠতাম। মুক্তিযুদ্ধের মাঠে-পাহাড়ে জঙ্গঁলে মুক্তিওযাদ্ধা ক্যাম্পে এই গানটি আমাদের জয়ী হওয়ার প্রেরণা দিত। Continue reading রবীন্দ্রনাথকে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খা: গোলাম মোহাম্মদ ইদু