২২তম জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচিত উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ (২০২২-২০২৪)

একবিংশ জাতীয় সম্মেলনে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সংসদ (২০১৯-২০২০)

গঠনতন্ত্র: একবিংশ জাতীয় সম্মেলনে সংশোধিত

একবিংশ সম্মেলনে সংশোধিত গঠনতন্ত্র

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী

ঘোষণাপত্র

মুক্তির ব্রত নিয়ে হতাশা নৈরাজ্য আর পরাধীনতার বিরুদ্ধে যখন জেগে উঠেছে শৃঙ্খলিত মানুষ, সেই আন্দোলন মুখরিত ঊনসত্তরে গণ-অভ্যুত্থানের প্রাক-পর্বে শ্বাসরুদ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিম-লে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে আটষট্টির ঊনত্রিশে অক্টোবর শিল্পীসংগ্রামী সত্যেন সেনের নেতৃত্বে ঢাকা নগরীর উত্তর প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’। নিপীড়িত মানুষের গান গাইবার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল উদীচী। ১৯৭১ সালে হাজারো মুক্তিসংগ্রামীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদীচীর ভাইবোনেরা যুক্ত হয়েছিল স্বাধীনতার যুদ্ধে। শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীর রক্তধারা মিশেছিল অযুত বীরের আত্মবলিদানের সঙ্গে।

উদীচীর একবিংশ জাতীয় সম্মেলন শুরু ২৮ মার্চ

মানুষ, তার সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের আকাক্ষার মুক্তির জন্য ভ্রান্তিহীন-ক্লান্তিহীনভাবে লড়াইয়ের আহ্বানের মধ্য দিয়ে আগামী ২৮শে মার্চ বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর একবিংশ জাতীয় সম্মেলন ও সত্যেন সেন গণসঙ্গীত উৎসব শুরু হচ্ছে।

Continue reading উদীচীর একবিংশ জাতীয় সম্মেলন শুরু ২৮ মার্চ

গানে, আবৃত্তিতে, শ্রদ্ধায় উদীচী’র রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন

গানে, আবৃত্তি ও শ্রদ্ধায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গত ০৮ মে’২০১৭ রোববার (২৫ বৈশাখ’১৪২৪) সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (১৪/২, তোপখানা রোড- জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে) আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উদীচী’র শিল্পীদের পরিবেশনায় “আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে” গানটির সাথে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর কাজী মোহাম্মদ শীশের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা। Continue reading গানে, আবৃত্তিতে, শ্রদ্ধায় উদীচী’র রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন

পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ, পহেলা বৈশাখের উপর আক্রমণ, অপপ্রচার, ভাস্কর্য অপসারণ, কওমি মাদ্রাসাকে অন্যায্য মর্যাদাদানসহ উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি

যৌথ বিবৃতি:

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দেশের বেশ কিছু ঘটনা আমাদের উৎকণ্ঠিত করেছে। পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিজাত পরিবর্তন, নববর্ষ ও মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরুদ্ধে আক্রমণ, পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান সংকুচিত করা, ভাস্কর্য অপসারণের দাবি, কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দেওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলবাদী গোষ্ঠীর সাথে সরকারের আপস ও আত্মসমর্পণের ঘটনায় দেশের ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক মানুষ ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
এ বছর প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকে যে পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে তা স্বাভাবিক নিয়ম মেনে হয়নি। পাঠ্যপুস্তকের ১৩ জন সম্পাদক গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, এই পরিবর্তনগুলো করা হয়েছে তাঁদের অজান্তে। পাঠ্যপুস্তকের এই সাম্প্রদায়িকীকরণের ঘটনা বছরের প্রথম দিনেই বিনামূল্যে সকল শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য ম্লান করে দিয়েছে। ছাপার ভুল, বানান-তথ্য-ইতিহাসের বিকৃতির ঘটনাগুলোকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করা হলেও, ধীরে ধীরে বের হয়ে এসেছে এইসব বিকৃতির পেছনের অভিসন্ধি। পশ্চাৎপদ ও মৌলবাদের তোষণনীতির কারণেই পাঠ্যপুস্তকে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে। এর পেছনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে ভয়ানক বিস্তার রয়েছে, তা গত কয়েক বছর ধরেই স্পষ্ট। এ বছরের পাঠ্যপুস্তকের এই পরিবর্তন সেই সাম্প্রদায়িক অপ-রাজনীতির সঙ্গে সরকারের আপসরফারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। Continue reading পাঠ্যপুস্তক সাম্প্রদায়িকীকরণ, পহেলা বৈশাখের উপর আক্রমণ, অপপ্রচার, ভাস্কর্য অপসারণ, কওমি মাদ্রাসাকে অন্যায্য মর্যাদাদানসহ উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি