যতবার হত্যা করবে, জন্মাবো আবার, গড়বো নতুন ইতিহাস: কংকন নাগ

সন ২০০৫। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় এক অধ্যায়ের চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর বছর। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতাকারী ও স্বাধীনতার পরও নানাভাবে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী মানুষকে যে গোষ্ঠী নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে গেছে, সেই জামায়াতে ইসলামী তখন এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। ২০০১ সালে জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার ফলশ্র“তিতে দেশে তখন মারাত্মকভাবে উত্থান ঘটেছে জঙ্গিবাদী মৌলবাদী গোষ্ঠীর, যার প্রমাণ তারা একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে রেখে যাচ্ছিল। এসব অপতৎপরতারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০০৫ সালে। ওই বছরই ১৭ আগস্ট সংঘটিত হয় সিরিজ বোমা হামলার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যার মাধ্যমে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তাদের শক্তি সম্পর্কে পুরো দেশের মানুষকে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। Continue reading যতবার হত্যা করবে, জন্মাবো আবার, গড়বো নতুন ইতিহাস: কংকন নাগ

ভাষার বহুমাত্রিক সংকট: মযহারুল ইসলাম বাবলা

বাংলাদেশ ভূখন্ড জুড়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাবাদে আমরা কেবল একটি ভাষাতেই কথা বলে থাকি। দ্বিতীয় বা বিকল্প অন্য কোন ভাষার প্রয়োজন হয় না। এটি যে আমাদের কত বিশাল প্রাপ্তি তা অনুভব করেছি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে। হাতেগোনা দু’চারটি প্রদেশ ছাড়া ভারতের সবগুলো প্রদেশ ঘুরে দেখার ও জানার অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা কারণে অসংখ্যবার যেতে হয়েছিল ভারতে। ভারতের মানচিত্রকে ভাগ করে করে অনেক দফায় সম্পন্ন হয়েছিল বিশাল ভারত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা।
পশ্চিমবঙ্গের অনেকে আমাদের দেশজুড়ে মাত্র একটি ভাষা প্রচলনের জন্য আমাদের ভাগ্যবান মনে করেন। Continue reading ভাষার বহুমাত্রিক সংকট: মযহারুল ইসলাম বাবলা

উদীচীর সাংস্কৃতিক সম্মেলন ও প্রত্যাশা: গোলাম মোহাম্মদ ইদু

উদীচীর চলার পথপদর্শক প্রয়াত রণেশ দাশ গুপ্ত বলেছিলেন,সংস্কৃতি ক্ষেত্রে সারা বাংলায় অনেক মূল্যবান উপাদান ছড়িয়ে আছে যা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে এগিয়ে যাওয়ার। শুধু নান্দনিক দিক থেকে নয়.তার ঐতিহ্য নিয়ে সংগ্রামের মাধ্যমে বেচেঁ থাকার জন্য তা মূল্যবান। সেই আলোকে উদীচী পাথেও হিসেবে বেছে নিয়েছে এই সাংস্কৃতিক সম্মেলন। উদীচীর বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে একটি হলো এই সাংস্কৃতিক সম্মেলন। এর মধ্য দিয়ে উদীচী বুঝে নিতে চায় তার পথ চলায় তার শক্তি সামর্থ ।
গতবার দেশের জেলা ও থানা মিলিয়ে ৫২টি শাখা তাদের অনুষ্ঠান ঢাকার শহীদ মিনারে পদর্শন করেছে। এবার এর শংখা অনেক বৃদ্ধি পাবে। Continue reading উদীচীর সাংস্কৃতিক সম্মেলন ও প্রত্যাশা: গোলাম মোহাম্মদ ইদু

ভারি ব্যাকুল বর্ষা: সঙ্গীতা ইমাম

ক্যানভাসে রঙ বদলানোর মোহিনী ইশারাকে কখনোই উপেক্ষা করেনি আবহমান বাঙলার অনন্য প্রকৃতি। সুন্দরের মিহিন শামিয়ানার নিচে, সহজিয়া মধুশালার সুলুকে রাত-জাগানিয়া মন কতো বর্ষায় ভিজেছে আনমোনে, কতো বৃষ্টিতে হয়েছে অনাবিল। এখনও আষাঢ়ে হাওয়ার উজানে নেশাতুর ঠোঁটে এসে লাগে বর্ষারাণীর আতুর আসবতৃষ্ণার গোলাপি ছোঁয়াচ। মুগ্ধতার আকাশের নিচে বিলোল বর্ষার বাঙলা আর বৃষ্টিভেজা ছবিতায় তার অপরিসীম সীমানা পেরিয়ে যাওয়া। আবার শহুরে বর্ষার চোখে চোখ রাখলে দেখি কী আশ্চর্য শ্রাবণ-রাখালের যামিনী আড় ভেঙে চলছে! কুহু-কেকা আর মেঘমল্লার যতোই আড়মোড়া ভাঙে, কালিদাসের সঘন সঙ্গে শহীদ কাদরীর বিচিত্র কথকতা ততোই গড়িয়ে যায় অন্য এক স্নিগ্ধ কুঠুরিতে, Continue reading ভারি ব্যাকুল বর্ষা: সঙ্গীতা ইমাম

প্রসঙ্গ : গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা: প্রবীর সরদার

গণসঙ্গীতের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। তবে, সাধারণত গণসঙ্গীত মূলত জনগণের সঙ্গীত। জনগণকে সচেতন, উৎসাহিত বা আন্দোলিত করার সঙ্গীত এই গণসঙ্গীত। কোন রাষ্ট্রে বা সমাজে গতানুগতিক বৈষম্য, অসামঞ্জস্য, অসংগতি, অসংলগ্নতা ইত্যাদির বিরুদ্ধে আপামর জনসাধারণ যখন শিল্পের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে সচেতন করার প্রয়াসে ওই বিষয়গুলো দিয়ে গান রচনা করে, তবেই সেটা গণসঙ্গীত। জীবনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময়ে তা উপস্থাপিত হতে পারে। আবার অন্যভাবে বলতে গেলে, গণসংগ্রামের গণচেতনায় গণসঙ্গীত সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণে সম্পৃক্ত করে এবং স্বপ্ন পূরণের সার্থকতা খোঁজে। Continue reading প্রসঙ্গ : গণসঙ্গীত উৎসব ও প্রতিযোগিতা: প্রবীর সরদার