গান, আলোচনা, গীতি-আলেখ্য আর চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান-এর ৮০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গত ১৯ আগস্ট বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালায় এই মহান চলচ্চিত্রকারের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকা মহানগর সংসদের চলচ্চিত্র ও চারুকলা বিভাগ আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
ওইদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল আলোচনা সভা। উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ-এর সভাপতিত্বে এ পর্বে জহির রায়হান-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী, উদীচীর সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্রকার মশিউদ্দিন শাকের এবং জহির রায়হান-এর পুত্র অনল রায়হান। বক্তারা বলেন, জহির রায়হান বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একটি উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের নাম। স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ববর্তী পর্যায়ে এবং স্বাধীনতার পরও অসামান্য দক্ষতায় একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মাঝে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছেন। ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনীর মাজুপুর গ্রামে জন্ম নেয়া জহির রায়হান চলচ্চিত্র ছাড়া সাহিত্য জগতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। জহির রায়হান ছিলেন এ উপমহাদেশের চলচ্চিত্র জগতে অন্যতম সেরা প্রতিভা। সিনেমাস্কোপ ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন।
আলোচনা পর্ব শেষে ছিল দলীয় ও একক সঙ্গীত পরিবেশনা এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এ পর্বে “শিল্পে-যুদ্ধে জহির রায়হান” শীর্ষক গীতি-আলেখ্য পরিবেশন করবেন উদীচী মিরপুর শাখার শিল্পীরা। এরপর “আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে” গানটি দলীয়ভাবে পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের শিল্পীরা। এরপর তারা পরিবেশন করেন জহির রায়হান নির্মিত চলচ্চিত্র “জীবন থেকে নেয়া”- তে শিল্পী আনোয়ার উদ্দিন খানের গাওয়া গান “দাও দাও দাও, দুনিয়ার যতো গরীবকে আজ জাগিয়ে দাও”। সবশেষে ছিল জহির রায়হান নির্মিত চলচ্চিত্র “বেহুলা” এবং এই মহান চলচ্চিত্রকারের জীবন ও কর্ম নিয়ে সেন্টু রায় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “জহির রায়হান”-এর প্রদর্শনী।