অবিভক্ত বাংলা সাহিত্যের প্রগতিবাদী লেখক হিসেবে এবং এদশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা হিসাবে পরিচিত নাম সত্যেন সেন। সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর এদেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দীর্ঘ কালের সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’র প্রধান প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে। এবছর সত্যেন সেনের জন্ম শতবার্ষিকী। সত্যেন সেনের সাথে আমার প্রথম দেখা কমিউনিস্ট পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডের থাকার সময় এক গোপন মিটিংয়ে, মিটিংয়ে আসল নামে চিনতে পারিনি পরে জেনেছি ইনিই সত্যেন সেন। কারণ পার্টি আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকার সময় প্রায় সকল পার্টি সদস্য …… ব্যবহার করতেন। এটাই নিয়ম ছিল। এর বেশি কিছু পরে রাজশাহী জেল থেকে আমাকে যখন ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে আসা হল তখন ঢাকা জেলে আমাকে থাকতে দিল ২৬ সেলে। ২৬জন কয়েদি এখানে থা তো বলে নাম ২৬ সেল। যুক্তফ্রন্ট সরকারের পর তখন মুসলিম লীগ সরকার ক্ষমতায় সম্ভবত ১৯৫৬ সাল। আমি এখানে এসে পেলাম সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত, সন্তোষ ব্যানার্জী, অজয় রায়, শহীদুল্লাহ কায়সার, ধীরেন ভট্রাচার্য্য, ময়মনসিংহের আলতাব আলী, আওয়ামী লীগের মনিসহ আরো অনেককে, আজ আর সবার কথা মনে নেই। আমি অনেকের থেকে অনেক ছোট এবং নতুন হওয়ায় সত্যেনদা আমাকে তার পাশে নিয়েছিলেন। তাঁর নং ছিল ৬ আর আমার নং ছিল ৫। পাকিস্তান সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণের কারণে অনেক নেতাকর্মী বিশেষ করে কমিউনিস্ট নেতাকর্মী তখন জেলে, তাদের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে কারো কারো বন্ড সই নিয়ে জেল খানা থেকে ছেড়ে দিতো। সত্যেনদার বা রণেশ দাশসহ আরো অনেকের মধ্যে এরকম কোনো লক্ষন দেখিনি। তারা বছরের পর বছর জেলে কাটিয়েছেন কিন্তু বন্ড সই দিয়ে জেল থেকে বেরুনোকে তাঁরা সবাই ঘৃণার চোখে দেখতেন। Continue reading আমার নেতা সত্যেন সেন: জসিম উদ্দিন মন্ডল