জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে উদীচীর মতবিনিময় সভা

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে
ঠাকুরগাঁওয়ে উদীচীর মতবিনিময়  সভা

Thakurgaon Udichi Motbinimoy Sovha-29-03-13

ঠাকুরগাঁও ॥

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তা-বের প্রতিবাদে গত ২৯ মার্চ শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উদীচী জেলা সংসদের আয়োজনে  দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রগতিশীল দলের সদস্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। Continue reading জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে উদীচীর মতবিনিময় সভা

সত্যেন সেন : মেহনতি মানুষের এক পরম সুহৃদ- গোলাম মোহাম্মদ ইদু

২৮ মার্চ, সত্যেন সেনের জন্মশতবার্ষিকী। প্রয়াত সত্যেন সেন ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ বিক্রমপুরে সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব চর্চাকারী ও ঢাকার প্রথম জাদুঘরের কিউরেটর প্রত্নতত্ত্ববিদ নলিনীকান্ত ভট্টশালীর বন্ধু। নলিনীকান্ত ভট্টশালী তাঁর প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধানে বিক্রমপুরে এলে সোনারং-এর সত্যেন সেনদের বাড়িতে আসতেন। এবং তাঁর প্রতিভা পত্রিকাতে সত্যেন সেনের দিদিদের নিকট লেখা দেয়ার জন্য বলতেন। তাঁর মেজদি ইন্দুবালা ২টি লেখা ভট্টশালী মহাশয়ের পত্রিকার জন্য পাঠিয়েও ছিলেন। সত্যেন সেন তখন ছোট। তাঁর কাকা আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন শান্তিনিকেতনের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ। চাকরিসূত্রে তাঁরা সবাই থাকতেন বিক্রমপুরের বাইরে। সত্যেন সেন থেকে যান এখানে। তাঁর অন্তর জড়িয়ে ছিল এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের সাথে।
উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও প্রগতিশীল আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারীদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব সত্যেন সেন। কৃষক, শ্রমিক, গ্রাম-শহরের মেহনতি মানুষ-এরাই ছিলো তাঁর আন্দোলন ও নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের উপজীব্য। অকৃতদার এই পুরুষ কৃষক আন্দোলনের নেতা, শ্রমিকদের সুহৃদ, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ, সাংবাদিক, লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের বিশিষ্টজন, গীতিকার, সুরকার, সখের গায়ক, সর্বোপরি দেশের প্রগতিশীল শিল্পীদের সমাবেশ-উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। Continue reading সত্যেন সেন : মেহনতি মানুষের এক পরম সুহৃদ- গোলাম মোহাম্মদ ইদু

DSC06971 মতলব দক্ষিণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় তরান্বিত করার দাবীতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ

DSC06971

মতলব দক্ষিণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় তরান্বিত করার দাবীতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ

মতলব দক্ষিণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় তরান্বিত করার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Continue reading DSC06971 মতলব দক্ষিণে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উদ্যোগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় তরান্বিত করার দাবীতে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ

দিনেই যদি হসরে কানা কি হবে আর রাত্রি হলে

কথা: সত্যেন সেন

দিনেই যদি হসরে কানা কি হবে আর রাত্রি হলে
বুঝবি কি আর মলে তোরা বুঝবি কি আর মলে।
খেটে খেটে মরলি খালি অভাবে দিন কাটালি
দিনে দিনে সব খুয়ালি এমনি কপাল পোড়া
ও তোর রক্ত চুষে হচ্ছে মোটা টাকার কুমির যত
পরের ধনের পেদ্দারেরা মারছে তোদের ছলে বলে
বুঝবি কি আর মলে তোরা বুঝবি কি আর মলে।
তোমার ওই হাতে জোরে ক্ষেত ওঠে শস্য ভরে
সে শস্য বাঁচায় ওরে দেশের নর নারী লোকের প্রাণ
তবু চাষীর পেটে ভাত জোটে রক্ত হইলো পানি
খাজনা ট্যাক্সের বিষম বোঝা মরণ এবার যাতাকলে
বুঝবি কি আর মলে তোরা বুঝবি কি আর মলে।

দেশ গেল দেশ গেল বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে

কথা: সিদ্দিক মোল্লা

দেশ গেল দেশ গেল বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে
ওই নিতাই সংসদে যাইয়া নিজে নিজের ঝুলি ভরে
দেশ গেল দেশ বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে
হাইরে সোনার বাংলাদেশে গরীব কেন না খাইয়া মরে
ন্যায্য কথা কইলে পরে ধনীর মাথা গরম করে
দেশ গেল দেশ গেল বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে
গরীব দুঃখীর ভোটটা নিয়া মন্ত্রী মিনিস্টার হয়া
এখন দেখি বুক ফুলাইয়া লম্বা লম্বা কথা বলে
বৃটিশ যায় পাকিস্তান এলো ভাগ্য বদল না হইলো
স্বাধীনতা চল্লিশ বছর গরীব কিছু পাইলো নারে
দেশ গেল দেশ গেল বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে
পাগল সিদ্দিক ভেবে বলে জোট বাঁধো ভাই দলে দলে
কৃষক শ্রমিক ছাত্র মিলে সাম্য শান্তি আনতে হবে
দেশ গেল দেশ গেল বলে কত নিতাই চিৎকার পাড়ে।