তারেক ও মিশুক ছিলেন এ জাতিকে স্বপ্ন দেখানোর মানুষ: উদীচীর স্মরণসভায় বক্তারা

তারেক ও মিশুক ছিলেন এ জাতিকে স্বপ্ন দেখানোর মানুষ:
উদীচীর স্মরণসভায় বক্তারা

উদীচীর স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় এর আগেও বহু মেধাবি ব্যক্তিসহ হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবার হারালাম তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে। এই অনাকাঙ্খিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এখনই সবাইকে এক হওয়া উচিত। উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে এই মৃত্যুর মিছিল চলতেই থাকবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হবে। তাহলে তারেক-মিশুকের মতো প্রতিভাবান বা সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারাবে না। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় চলচিত্র ও চারুকলা বিভাগ আয়োজিত তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর শোক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ স্মরণসভায় একই ঘটনায় নিহত অপর তিনজন-মুস্তাফিজ, জামাল ও ওয়াসিমকেও স্মরণ করা হয়। তাদের স্মৃতির উদ্দেশে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ইদু। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার মসিহ উদ্দিন শাকের, শিল্পকলা একাডেমী সঙ্গীত ও নৃত্যকলা বিভাগের পরিচালক মাহামুদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার, মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, আশরাফুল আলম রতন প্রমুখ।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, তারেক মাসুদ ও মিশুক মনির এদেশের সুস্থধারার চলচ্চিত্রের পথিকৃত ছিলেন। তারা এদেশের চলচ্চিত্রকে নতুন মাত্রা দিতে পেরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতিকে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক মাসুদের শিল্পকর্ম অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে। বক্তারা সড়ক দুর্ঘটনার নিহত তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরের এ মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের সড়কের অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেন।

তারা আরও বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের স্বপ্নগুলোকে ধবংস করে দিচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবারগুলোকে দুঃসময়ের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারেক ও মিশুক ছিলেন এ জাতিকে স্বপ্ন দেখানোর মানুষ। তাদের মৃত্যুর কারণে এসব স্বপ্ন অকালেই ঝরে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ‘স্মরণ : তারেক মাসুদ’ ও ‘মাটির ময়না’ নামে দুইটি কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী বেলায়েত হোসেন। শোকসঙ্গীত ‘তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যতদূর আমি ধাই’ পরিবেশন করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সঙ্গীত বিভাগের শিল্পীরা। পরে তারেক মাসুদ পরিচালিত ‘মুক্তির গান’ দেখানো হয়।

উদীচী’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের বীর সেনানী মুকুন্দ লাল বসু-এর মৃত্যুতে উদীচীর শোক প্রকাশ

উদীচী’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের বীর সেনানী মুকুন্দ লাল বসু-এর মৃত্যুতে উদীচীর শোক প্রকাশ

উদীচী’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বৃটিশবিরোধী আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন ও খুলনার প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম বীর সেনানী মুকুন্দ লাল বসু আজ ৬ আগস্ট ২০১১ শনিবার ভোর ৬ টায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। Continue reading উদীচী’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও কৃষক আন্দোলনের বীর সেনানী মুকুন্দ লাল বসু-এর মৃত্যুতে উদীচীর শোক প্রকাশ

সংস্কৃতিই গণঐক্যের বলিষ্ঠ হাতিয়ার: কামাল লোহানী

সাংস্কতিক উত্তরাধিকারই যে আমাদের গর্ব, ইতিহাস তাই নয়, আমরাও তো চলমান ইতিহাসের নায়ক, সৃষ্টি করে চলেছি নবনব অধ্যায়, নতুন কোন শত্রু“র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মাধ্যমে। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের পাকিস্তানী কায়েমী স্বার্থবাদী উপনিবেশিক শত্রু“, সমান্তবাদ, সাম্প্রদায়িকতাবাদ নানা শোষকশ্রেণী ও গণবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়েছি । এ লড়াইয়ে আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন প্রধানত: এ দেশীয় কৃষক তথা মেহনতি মানুষ এবং সচেতন নাগরিক সমাজ। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগ্রামে গণমানুষের অগ্রগামী অংশই ছিলেন নিপীড়িত, নির্য্যাতিত জনগোষ্ঠী। এদেশীয় সামন্তপ্রভূরা শাসকশ্রেণীর লেজুড়বৃত্তি করে নিজেদের আখের গোছাবার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শোষক গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টাই করে গেছে। ফলে ওদের ভূমিকা সব সময়ই গণবিরোধী ছিল এবং থেকেও গেছে। আর তেমনি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা মযদ্ধ- সেই ১৮৫৭ সালে যেমন সাধারণ সিপাহীরা বিদ্রোহ করেছিলেন সাম্রাজ্যবাদী কপটতা ও সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি প্রয়োগের বিরুদ্ধে ঐক্যের সাহসে, তেমনি দ্বিতীয় সহাযুদ্দ শেষে যখন ঐ বৃটিশ বেনিয়া-সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত বাংলায় অকল্পনীয় দূর্ভিক্ষ- ছিয়াত্তর বাংলা সনের মানুষ্যসৃষ্ট মন্বন্তর সৃষ্টি করেছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের গণশক্তিকে দূর্বল এবং বিভক্ত করতে, তখনই সাম্রাজ্যলোভী বিলেতী পরাশক্তিই বিদায় ঘন্টা যেন বেজে উঠেছিল। Continue reading সংস্কৃতিই গণঐক্যের বলিষ্ঠ হাতিয়ার: কামাল লোহানী

নড়াইলের বড়দিয়া শাখার উদীচী কর্মী পলাশের উপর হামলার প্রতিবাদ

নড়াইলের বড়দিয়া শাখার উদীচী কর্মী পলাশের উপর হামলার প্রতিবাদ

গত ১৩ জুলাই ২০১১ নড়াইল জেলার উদীচী বড়দিয়া শাখার সঙ্গীত বিষয়ক সম্পাদক পলাশ দাসকে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় উদীচী কর্মী পলাশ দাস গুরুতর আহত হয়। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে সেই সাথে পলাশের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছে।

উদীচী’র সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

উদীচী’র সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

গত ১০ জুন ২০১১ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ কমরেড মণি সিংহ সড়কস্থ মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত উদীচীর সকল জেলা-শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাংঠনিক সম্পাদকদের সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ Continue reading উদীচী’র সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত