২০০১ সালে ছায়ানট আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। রায়কে স্বাগত জানিয়ে উদীচী’র কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী বলেন, ন্যাক্কারজনক ওই হামলার দীর্ঘ ১৩ বছর পরে হলেও হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা হওয়ায় দেশের সংস্কৃতি কর্মীরা সন্তুষ্ট। অতীতে এদেশের প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকর্মীদের উপর সংঘটিত অন্যান্য নৃশংস হামলারও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন কামাল লোহানী। আর উদীচী’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার অবিলম্বে রমনা বটমূলে হামলা মামলার ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
একইসাথে ১৯৯৯ সালে যশোরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে সংঘটিত নৃশয়স বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে অহেতুক দীর্ঘসূত্রিতা ও কালক্ষেপন বন্ধের দাবি জানান উদীচী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, ৯৯’র যশোর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে বোমা হামলার যে জঘন্য অপসংস্কৃতির সূচনা হয়েছিল, ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হলে হয়তো তা এতদিনে বন্ধ করা যেত। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সংঘটিত সব ধরণের বোমা হামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিস্পত্তি করা হলে ভবিষ্যতে এ কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব হবে বলেও মন্তব্য করেন উদীচী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল লোহানী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার।