পল্লীকবি জসীমউদ্দীন

ফরদিপুর জলোর তাম্বলখানা গ্রামে ১৯০৩ সালরে ১ জানুয়ারি পল্লীকবি জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করনে। এটি ছলি তাঁর নানার বাড়।ি নজিরে বাড়ি ছলি গোবন্দিপুর গ্রাম।ে তাঁর বাবা আনসার উদ্দীন ছলিনে ফরদিপুর হতিষৈী এম.ই. স্কুলরে শক্ষিক। মায়রে নাম আমনো খাতুন। নহোজউদ্দীন নামে জসীমউদ্দীনরে এক চাচাতো ভাই ছলিনে। তাঁরা দু’জন সারাদনি পথঘোট,ে ক্ষতেে খামারে আর নদীর পাড়ে ঘুরে বড়োতনে। এমনই দুষ্টুমি আর দস্যপিনায় মতেে থাকতে থাকতে স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে জসীমউদ্দীনরে বাবা তাঁদরে দু’জনকইে শোভারামপুর গ্রামে অম্বকিা মাস্টাররে পাঠশালায় র্ভতি করে দনে। তারপর কবি অম্বকিা বাবুর পাঠশালা থকেে আসনে বাবার স্কুল।ে চর্তুথ শ্রণেী র্পযন্ত সখোনে পড়ার পর র্ভতি হন ফরদিপুর জলো স্কুল।ে এই স্কুল থকেইে তনিি ১৯২১ সালে প্রবশেকিা পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হন। তারপর র্ভতি হন ফরদিপুর রাজন্দ্রে কলজে।ে এখান থকেে তনিি আইএ এবং বএি পাস করনে ১৯২৯ সাল।ে এরপর কলকাতায় গয়িে এমএ পাস করে তনিি ১৯৩৩ সালে র্কমজীবন শুরু করনে। কলকাতা বশ্বিবদ্যিালয়রে ড. দীনশে চন্দ্র সনেরে অধীনে ‘রামতনু লাহড়িী’ গবষেণা সহকারি নযিুক্ত হন। ১৯৩৮ সালে তনিি ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়ে বাংলা বভিাগে অধ্যাপক পদে যোগদান করনে। অধ্যাপনা ছড়েে ১৯৪৪ সালে তৎকালীন পাকস্তিান সরকাররে প্রচার বভিাগে চাকরি গ্রহণ করে ১৯৬১ সালে অবসর গ্রহণ করনে জসীমউদ্দীন।

জসীমউদ্দীনরে কবি প্রতভিা বকিশতি হয় শশৈবইে। কবতিা লখোর প্রতি প্রবল ঝােঁক থকেইে তাঁর ইচ্ছে হয় বড় কবি হওয়ার। জসীমউদ্দীন কবি হসিবেে খ্যাতরি র্শীষে ওঠনে যখন তনিি কলজেে পড়ার সময় ‘কবর’ কবতিাটি লখেনে। তনিি যখন বএি ক্লাসরে ছাত্র তখনই কবতিাটি প্রবশেকিা পরীর্ক্ষাথীদরে পাঠ্য তালকিাভুক্ত হয়। ১৯২৭ সালে ‘রাখাল’ি ও ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নামে তাঁর দু’টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশতি হলে খ্যাতি আরো ছড়য়িে পড়।ে পল্লীকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বই দু’টি উপহার দলিে তনিি সগেুলোর প্রশংসা করে একটি আলোচনাও লখিছেলিনে।

কবি জসীমউদ্দীন ছোটদরে ভালোবাসতনে। তাই তনিি শশিুদরে জন্য লখিছেলিনে ‘হাসু’, ‘এক পয়সার বাঁশী’, ‘বাঙালরি হাসরি গল্প’, ‘ডালমি কুমার’, ‘আসমানীর কবি ভাই’, ‘হলুদ পরীর দশে’ে প্রভৃতি গ্রন্থ। তাঁর অন্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়ছে-ে ‘ধানক্ষতে’, ‘মাটরি কান্না’, ‘হলুদ বরণী রূপবতী’, ‘জলরে লখেন’, ‘পদ্মা নদীর দশে’ে প্রভৃত।ি কাহনিী কাব্যরে মধ্যে রয়ছেে ‘সোজন বাদয়িার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সকনিা’ প্রভৃত।ি জসীমউদ্দীনরে অন্যতম জনপ্রয়ি লোকনাট্য গ্রন্থ হলো ‘মধুমালা’, ‘বদেরে ময়ে’ে, ‘পদ্মার পার’, ‘পল্লীবধু’, ‘গ্রামরে মায়া’, ‘গাঙরে পার’, ‘ওগো পুষ্প রণেু’ প্রভৃত।ি তাঁর স্মৃতচিারণমূলক গ্রন্থরে মধ্যে অন্যতম ‘ঠাকুর বাড়ীর আঙনিায়’, ‘স্মৃতপিট’, ‘যে দশেে মানুষ বড়’ ইত্যাদ।ি এছাড়া, ভ্রমণ কাহনিীর মধ্যে উল্লখেযোগ্য হলো ‘চলে মুসাফরি’, ‘র্জামানরি শহরে ও বন্দর’ে প্রভৃত।ি ‘বোবা কাহনিী’ তাঁর একটি জনপ্রয়ি উপন্যাস। এছাড়াও জারসিারি ও র্মুশদিী গানরে অসংখ্য সংগ্রহ ও সম্পাদনা রয়ছেে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনরে।

গ্রামরে সহজ-সরল মানুষরে হাস-িকান্না, সুখ-দুঃখরে বচৈত্র্যির্পূণ বষিয় ছলি পল্লীকবি জসীমউদ্দীনরে রচনার মূল বষিয়বস্তু। গ্রামরে সাধারণ মানুষরে কথাই তনিি তাঁর কবতিায় বারবার ফুটয়িে তুলছেনে। দশেরে মানুষ তাই তাঁকে ভালোবসেে ‘পল্লীকব’ি বলে ডাকনে। জসীমউদ্দীন সাহত্যি জীবনে অনকে সম্মাননা ও পুরস্কার পয়েছেনে। কলকাতার বশ্বিভারতী বশ্বিবদ্যিালয় তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডলিটি’ উপাধি দয়ে ১৯৬৮ সালে আর ১৯৭৬ সালে তনিি লাভ করনে ‘একুশে পদক’।

আনুষ্ঠানকি উপাধি ও সম্মাননা ছাড়াও পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বাংলাদশেরে মানুষরে ভালোবাসা পয়েছেনে। ১৯৭৬ সালে ১৪ র্মাচ ঢাকায় জসীমউদ্দীন শষে নঃিশ্বাস ত্যাগ করনে। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী নজি গ্রাম গোবন্দিপুরে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনকে সমাহতি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *