সত্যেন সেন : মেহনতি মানুষের এক পরম সুহৃদ- গোলাম মোহাম্মদ ইদু

২৮ মার্চ, সত্যেন সেনের জন্মশতবার্ষিকী। প্রয়াত সত্যেন সেন ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ বিক্রমপুরে সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব চর্চাকারী ও ঢাকার প্রথম জাদুঘরের কিউরেটর প্রত্নতত্ত্ববিদ নলিনীকান্ত ভট্টশালীর বন্ধু। নলিনীকান্ত ভট্টশালী তাঁর প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধানে বিক্রমপুরে এলে সোনারং-এর সত্যেন সেনদের বাড়িতে আসতেন। এবং তাঁর প্রতিভা পত্রিকাতে সত্যেন সেনের দিদিদের নিকট লেখা দেয়ার জন্য বলতেন। তাঁর মেজদি ইন্দুবালা ২টি লেখা ভট্টশালী মহাশয়ের পত্রিকার জন্য পাঠিয়েও ছিলেন। সত্যেন সেন তখন ছোট। তাঁর কাকা আচার্য ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন শান্তিনিকেতনের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ। চাকরিসূত্রে তাঁরা সবাই থাকতেন বিক্রমপুরের বাইরে। সত্যেন সেন থেকে যান এখানে। তাঁর অন্তর জড়িয়ে ছিল এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের সাথে।
উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও প্রগতিশীল আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারীদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব সত্যেন সেন। কৃষক, শ্রমিক, গ্রাম-শহরের মেহনতি মানুষ-এরাই ছিলো তাঁর আন্দোলন ও নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের উপজীব্য। অকৃতদার এই পুরুষ কৃষক আন্দোলনের নেতা, শ্রমিকদের সুহৃদ, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ, সাংবাদিক, লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যিকদের বিশিষ্টজন, গীতিকার, সুরকার, সখের গায়ক, সর্বোপরি দেশের প্রগতিশীল শিল্পীদের সমাবেশ-উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। Continue reading সত্যেন সেন : মেহনতি মানুষের এক পরম সুহৃদ- গোলাম মোহাম্মদ ইদু