বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী বশির আহমেদের মৃত্যুতে উদীচী’র শোক

Boshir Ahmedবিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গায়ক এবং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রকে একটি শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম সৈনিক বশির আহমেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী গভীর শোক প্রকাশ করেছে। এক শোক বার্তায় উদীচী’র কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী বলেছেন, ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে যখন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র একটি শিল্প মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশের কঠিন লড়াই লড়ছে, তখন অসাধারণ গায়নশৈলী ও সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে এদেশের সাধারণ মানুষকে চলচ্চিত্র জগতের প্রতি আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বশির আহমেদ। তাঁর গাওয়া গানগুলো এতোটাই কালোত্তীর্ণ ছিল যে এ প্রজন্মের মানুষদের কাছেও তার আবেদন অটুট রয়েছে। শোক বার্তায় উদীচী’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার বলেন, “যা রে যাবি যদি যা”, “অনেক সাধের ময়না আমার”, “আমাকে পোড়াতে যদি এতো লাগে ভালো”, “ডেকো না আমারে তুমি কাছে ডেকো না” প্রভৃতি অসংখ্য কালজয়ী গানের শিল্পী বশির আহমেদের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আরো একজন গুণী শিল্পীকে হারালো। তাঁর গাওয়া গানগুলো সকলের খুব পছন্দের হলেও অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই যেন বিদায় নিতে হলো তাঁকে। তবে, তিনি তাঁর গানের মাধ্যমেই আজীবন সবার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন বলেও মন্তব্য করেন প্রবীর সরদার।

১৯৪০ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার খিদিরপুরে জন্ম নেয়া বশির আহমেদ মাত্র ১৫ বছর বয়সেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নেন। এরপর ১৯৬০ সালে ঢাকায় আসার পর ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে একের পর এক অনবদ্য গান গেয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। গান গাওয়া ছাড়া গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন বশির আহমেদ। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভোগার পর ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণী শিল্পী।

বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী এবং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রকে একটি শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অন্যতম সৈনিক বশির আহমেদের মৃত্যুতে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন উদীচী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।