প্রীতিলতা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ

প্রীতিলতা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ

প্রীতিলতা ছিলেন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন ও নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ।  নারী-পুরুষ হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই-সংগ্রাম করতে পারে এমন দৃষ্টান্ত প্রথম তিনিই দেখিয়েছেন। নারী সমাজের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রীতিলতা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বর্তমানে নারীরা যে ক্ষমতায়নের পথে হাঁটছেন তা প্রীতিলতার আন্দোলনের ফসল। বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্মশতবর্ষ ও ৭৯তম আত্মাহুতী দিবস উপলক্ষে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় বক্তারা বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত ও শোষণ মুক্ত ভারতবর্ষ চেয়েছিলেন। তিনি ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি মনে করতেন, ‘যদি আমাদের ভাইয়েরা মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারে আমরা ভগ্নিরা কেন তা পারবো না। ইতিহাসে অনেক উদাহরণ আছে [….] [….] স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য ও নারীত্বের মর্যাদা রক্ষার জন্য তারা শত্র“র প্রাণ সংহার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেনি।
বক্তারা আরো বলেন যে, সারা বিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন চলছে। তাদের থাবার বিস্তৃতি শিকার এখন প্রতিটি প্রাকৃতিক সম্পদশীল দেশ। তাদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাংলাদেশ রেহাই পায়নি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও বাংলাদেশের মার্কিনী বংশবদদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রীতিলতার জীবন-সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সাবেক সভাপতি কাজী মদিনা, উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন, সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান এবং উদীচী শরীয়তপুর জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি এম. এ. আজিজ মিয়া।