গানে, আবৃত্তিতে, নাচে, শ্রদ্ধায় উদীচী’র রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন

Robindro Joyontiগানে, নাচে আবৃত্তি ও শ্রদ্ধায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করলো বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। গত ০৮ মে’২০১৪ বৃহস্পতিবার (২৫ বৈশাখ’১৪২১) সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে (১৪/২, তোপখানা রোড- জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে) আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উদীচী’র শিল্পীদের পরিবেশনায় “আনন্দ লোকে, মঙ্গল আলোকে” গানটির সাথে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উদীচী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি কামাল লোহানী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, শংকর সাঁওজাল এবং ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ। এরপর কাজী মোহাম্মদ শীশের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা।

আলোচনা সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা মহানগর সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ঘোষ। এরপর “মন মোর মেঘের সঙ্গী” গানটির সাথে নৃত্য পরিবেশন করে ছোট বন্ধু প্রকৃতি। এরপর ছিল উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের আলোচনা। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন জুঁই। তিনি পরিবেশন করেন “অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তরতম হে”। এভাবেই আলোচনা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। আলোচনায় আরো অংশ নেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক এ এন রাশেদা, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ, সহ-সভাপতি সঙ্গীতা ইমাম প্রমূখ। এতে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া পারভীন, কৃষ্ণা গোমেজ, আশরাফুল আলম, বেনজীর আহমেদ লিয়া প্রমূখ। কবিতা আবৃত্তি করেন রিপন আচার্য শিশির, মামুনুর রশিদ প্রমূখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ “সাহিত্য দর্শন” থেকে অংশ বিশেষ পাঠ করেন চন্দ্র তাপস। তারা পরিবেশন করেন “আকাশ ভরা সূর্য তারা”, “মন মোর মেঘের সঙ্গী”, “কবে আমি বাহির হলেম”, “তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে” প্রভৃতি গান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইকবালুল হক খান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বিদ্রোহ, বিক্ষোভসহ যত ধরণের অনুভূতি থাকতে পারে তার সবগুলো ক্ষেত্রেই অসাধারণ নৈপুণ্যে অবাধে বিচরণ করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে যে কয়েকজন মানুষকে মহীরুহ হিসেবে বর্ণনা করা যায় তার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম হিসেবে গণ্য হবেন। অসীম প্রতিভার অধিকারী এই মহামানব বাংলা সাহিত্যকে সম্পূর্ণ নতুন একটি মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার।