উদীচী’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফ নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে আরিফ নূরের উপর হামলার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের দোসর মৌলবাদীদের দায়ী করা হয়। সমাবেশ থেকে মৌলবাদীদের রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল সংস্কৃতিকর্মী, পেশাজীবী, প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান বক্তারা।

Ctg Udichi
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ, উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা.চন্দন দাশ, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তৌহিদ টিপু, যুব ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আরিফউল্লাহ হাই, ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব এবং উদীচী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রসূণ চৌধুরী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন আরিফ নূর। এখনও রাজাকারদের বিচারের জন্য রাজপথে লড়াই, সংগ্রাম করছেন আরিফ নূর। এ অবস্থায় তার উপর হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আমরা মনে করি, এ ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।’

তারা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের দোসর মৌলবাদী, ধর্মান্ধরা, যারা এ বিচার চায়না, যারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায় তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চসহ প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীরা। তারা আরিফ নূরের উপর হামলার মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল শক্তিকে স্তব্ধ করে দিতে চায়।’

বক্তারা বলেন, ‘মৌলবাদীদের এখনই রুখতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তার যেন আর কোন কারও উপর হামলা করতে না পারে সেজন্য তাদের এখনই রুখে দিতে হবে। মৌলবাদী যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের এখনই দমন করা না গেলে বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে।’

বক্তারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করার আহবান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগি পাহাড় মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

শুক্রবার রাতে ঢাকায় পরীবাগ এলাকায় আরিফ নূর দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলার শিকার হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।