উদীচী’র আয়োজনে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, উদীচীর উপদেষ্টা

উদীচী’র আয়োজনে বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, উদীচীর উপদেষ্টা
শিল্পী সংগ্রামী অজিত রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন অজিত রায়। যার কারণে রবীন্দ্র-নজরুল সঙ্গীতে পারদর্শী হয়েও তিনি গণসঙ্গীতকে বেছে নিয়েছিলেন হাতিয়ার হিসেবে। ’৬৬, ’৬৯, ’৭১সহ বাংলাদেশের সকল মুক্তি সংগ্রামে ছুটে গিয়েছেন গণসঙ্গীত নিয়ে। গান গেয়ে মানুষকে করেছেন উজ্জীবিত।
বক্তারা বলেন, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেয়ে এই গানটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। বক্তারা আরো বলেন, অজিত রায় আর দশ জন শিল্পীর মতো নিজেকে শুধু গান গাওয়া ও সুর করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেননি, একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু করে অনেক প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাঁর কাছে গান শিখে আজ অনেকে অনেক বড় শিল্পী হয়েছেন। তাঁর এই জীবন সংগ্রাম সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা মন্তব্য করেন।
বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, উদীচীর উপদেষ্টা শিল্পী সংগ্রামী অজিত রায়ের প্রয়াণে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ গত ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে “শিল্পী সংগ্রামী অজিত রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি” অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শোক সঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ এবং জীবনী পাঠ করেন বেলায়েত হোসেন।
সভায় আলোচনা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, রামেন্দু মজুমদার, মঞ্জুরুল আহসান খান, ফকির আলমগীর, বুলবুল মহালানবিস, শিল্পীর কন্যা শ্রেয়শী রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ ইদু এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল আলম।