অঞ্জন চৌধুরীর বাবা নিরঞ্জন চৌধুরী-এর মৃত্যুতে উদীচী’র শোক

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং সুনামগঞ্জ জেলা সংসদের সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর বাবা নিরঞ্জন চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এক শোক বার্তায় উদীচী’র কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী ও সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার বলেন, সুনামগঞ্জের প্রখ্যাত গৌরারং-এর জমিদারের একমাত্র সন্তান নিরঞ্জন চৌধুরী ছোটবেলা থেকেই প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অধিকারী ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ চালুর পর প্রথম ব্যাচের সফল ছাত্র নিরঞ্জন চৌধুরী পরবর্তীতে বাম রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হন। এই ভূখ-ের প্রায় সকল প্রগতিশীল আন্দোলনেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। শুধু একজন সফল রাজনীতিবিদই নন, একজন আদর্শ বাবা হিসেবে সফল ছিলেন নিরঞ্জন চৌধুরী।

একমাত্র সন্তান অঞ্জন চৌধুরীকে সঠিক শিক্ষায় গড়ে তোলার জন্য সারাজীবনই সচেষ্ট ছিলেন তিনি। সফলতাও পেয়েছেন। পুত্রকে দেশ ও দশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখার যোগ্য করে তুলেছেন তিনি। তাঁর ছেলে অঞ্জন চৌধুরী একজন দক্ষ সংস্কৃতি কর্মী হিসেবে উদীচী’র মতো একটি প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে একটি অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর নাতি অয়ন চৌধুরীও একজন প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গীত শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে এরই মধ্যে নিজের স্বাক্ষর রেখেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সংসদের সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর বাবা-এর মৃত্যুতে উদীচী তার পরিবারের একজন অভিভাবককে হারালো বলে শোক বার্তায় মন্তব্য করেন কামাল লোহানী ও প্রবীর সরদার। নিরঞ্জন চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠে তাঁর দেখানো পথে জীবনের বাকি সময় চলবেন এই প্রত্যাশা করেন উদীচী’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

নিরঞ্জন চৌধুরী কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন। খুব একটা চলাফেরা করতে না পারলেও পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন অন্যতম অনুপ্রেরণা। গত ১২ আগস্ট বুধবার সকালে সুনামগঞ্জে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

উদীচী’র জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং সুনামগঞ্জ জেলা সংসদের সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধুরীর বাবা নিরঞ্জন চৌধুরীর মৃত্যুতে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন উদীচী’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *